নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন পাঁচ লক্ষ টাকার চেক প্রতারণার দায়ে নূরে আলম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ব্যবসায়ীকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে । এ বিষয়ে ১৬ই ফেব্রুয়ারি সোমবার সিএমপি’র খুলশী থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয় । জিডি নং…৯৪৪ ।
ভুক্তভোগী ইকবাল শুভ সকাল নিউজকে জানান , বছর দু-এক আগে নগরীর সাগরিকা এলাকায় থাকার সুবাদে স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী নূরে আলমের সাথে পরিচয় হয় আমার। এক পর্যায়ে আমাদের সম্পর্ক গভীর হলে নূরে আলম আমাকে ব্যবসার প্রস্তাব দিলে ব্যবসার জন্য আমি তাকে ৫ লাখ টাকা দিই । নুরে আলম প্রথমে ব্যবসা শুরু করতে গড়িমসি করেন। একপর্যায়ে নুরে আলম আমার সাথে পল্টি নেয়। তারপর একের পর এক বাহানায় সে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আমি টাকা ফেরত চাইলে শুরু হয় হুমকি-ধমকি। টাকা না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার বাহানা দেয় সে। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন সালিশ করে টাকা ফেরত দিতে বললে নুরে আলম গত বছরের ১২ আগস্ট ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন আমাকে। পরে চেকে দেওয়া ২৯ অক্টোবর ২০২০ইং তারিখ অনু্যায়ী ব্যাংকে গিয়ে ওই চেক জমা দিলে ব্যাংকে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকায় ব্যাংক ওই চেক ডিজঅনার করে।
একপর্যায়ে টাকা না পেয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বর নুরে আলমকে উকিল নোটিশ প্রেরণ করি এবং ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা দায়ের করি। এরপর চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত । গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর পেয়ে নুরে আলম ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
ইকবাল আরো জানান,জামিন নিতে না নিতেই নুরে আলম মামলা তুলে নিতে আমাকে মুঠো ফোনে ( যাহার নাম্বার ০১৭১১২০৫২৭৩) থেকে বিভিন্ন প্রকার চাপ প্রয়োগ করে এবং আমার বাসায় গিয়ে হুমকি দেয় । একপর্যায়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । বিষয়টি নিয়ে আইনী সহযোগীতার জন্য আমি খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি ।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরে আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেস্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
চট্টগ্রাম নগরীর পাঠানটুলি বংশাল পাড়া এলাকায় একটি বাড়ির ছাদে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকায় গুলির শব্দ শুনেন স্থানীয় বাসিন্দারা । গুলির এমন শব্দ শুনে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে অত্র স্থানে অভিযান চালায়। পরে নিজাম খান নামের এক ব্যক্তির বাড়ি শনাক্ত করে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির ছাদে অস্ত্র কারখানা পায় পুলিশ । এ সময় নিজামকে না পেয়ে পুলিশ তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসাকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার সিএমপির ডবলমুরিং থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান , ডবলমুরিং থানাধীন পাঠানটুলির বংশাল পাড়ায় গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাড়িটি শনাক্ত করে। নিজামের বাড়ি থেকে গুলি করা হয়েছে নিশ্চিত হয়েই ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে ওই বাড়ির ছাদে তল্লাশি চালিয়ে কবুতরের ঘরের ভেতর অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই বাড়ি থেকে দু’টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি এয়ার গান, অস্ত্র তৈরির ডায়াগ্রামসহ বিভিন্ন ধরনের লোহা কাটার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এসব দিয়ে ঘরে বসেই নিজাম অস্ত্র তৈরি করতেন বলে জানান পুলিশ ।
উপকমিশনার ফারুক উল জানান , নিজামকে গ্রেফতার করার পর জানা যাবে সে এসব অস্ত্র কাদের কাছে বিক্রি করত।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
সারাদেশে ক্যাসিনো বন্ধ করা হলেও চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থান গড়ে উঠেছে ছোটখাটো ক্যাসিনো। এমনই করুণ অবস্থায় আছে নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকা । এলাকাবাসী সোচ্চার হলেও প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। এসব জুয়ার বোর্ড গুলো পরিচালনা করে এলাকার প্রভাবশালী চাঁদাবাজরা। জানা গেছে সিন্ডিকেটের প্রধান আব্দুল আজিজ ওরোফে ডাইল আজিজ ও তার কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা এসব পরিচালনা করে ।
এলাকার স্থানীয় সচেতনমহল জানান, যুবলীগের কোন পদ পদবিতে না থেকেও যুবলীগের নাম ভাংগিয়ে আব্দুল আজিজ গড়ে তুলেছে জুয়ার ছোটখাটো ক্যাসিনো । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক মুরব্বী জানান, আব্দুল আজিজ যুবলীগের কোন কর্মী নয়,তবুও সে নিজেকে যুবলীগ নেতা বলে দাবী করে । তাদের বিরুদ্ধে থানায় ও মহল্লা কমিটিতে একাধিক অভিযোগও রয়েছে ।
এলাকাবাসী জুয়ার আসর অনেকবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করলেও লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। যারা প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন তাদের তার কিশোর গ্যাং দ্বারা বিভিন্ন হুমকি দুমকি দিয়েছিলেন। ফলে এলাকাবাসী ভীত হয়ে প্রশাসনে কোন অভিযোগ দায়ের করতে ব্যর্থ হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুল আজিজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি ।
বিষয়টি নিয়ে ডবলমুরিং থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা খুব দ্রুত অভিযান চালাবেন বলে জানান। উক্ত এলাকাতে ঝাড়ু ব্যাবসায়ীরা জানান , ডাইল আজিজ তাহার কিশোর গ্যাং নিয়ে ঝাড়ু ব্যাবসায়ীদের নিকট থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করে আসছে, কয়েক জন ঝাড়ু ব্যাবসায়ী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাহাদের ঝাড়ু ব্যাবসা বন্দ করে দিবে বলে নানান রকম হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে নামধারি যুবলীগ নেতা ডাইল আজিজের বিরুদ্ধে।
জুনায়েদ হাসানঃ-
চট্টগ্রামে এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যে প্রেমের ছলনায় জোর পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে এবং ইতোমধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতারকৃত ধর্ষন মামলার আসামী মোঃ বাহারুল ইসলাম (৩৩) ।
মামলার তথ্য ও সূত্রে মতে , ধর্ষনের শীকার উম্মে হাবীবা আক্তার (২৪) নগরীর বন্দর থানাধীন ২নং মাইলের মাথা , কমিশনার গলির হাজি বিল্ডিং এর অস্থায়ী বাসিন্দা । সে কেইপিজেড এর একটি গার্মেণ্টস শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছে । অভিযুক্ত ধর্ষক মোঃ বাহারুল ইসলাম (৩৩) রাংগামাটি জেলার লংগদু উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ড গাথাছরা এলাকার রমজান আলীর পুত্র এবং একে অপরের খালতো ভাই-বোন হয় ।
ভুক্তভোগী উম্মে হাবীবা শুভ সকাল নিউজকে জানায় , অভিযুক্ত মোঃ বাহারুল ইসলাম আমার খালাতো ভাই । সে সুবাধে তার সাথে আমার দীর্ঘদিন প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক । এ সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করতে এক পর্যায়ে সে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে আমি রাজি হই ।
এক পর্যায়ে সে দীর্ঘদিন আমার সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও আমার খালাতো ভাই হওয়াতে আমার বাসায় যাওয়া আসা করতো । অভিযুক্ত বাহারুল ইসলাম গত বছরের নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখ রাত আনুমানিক ১০ টায় আমার সাথে দেখা করার সুবাধে আমার বাসায় আসলে আমি সরল মনে তাকে প্রবেশ করতে দিলে বাহারুল ইসলাম আকদ করার প্রলোভন দেখিয়ে আমার অনিচ্ছায় জোরপূর্বক আমার সাথে যৌন সংগমে লিপ্ত হয় । এমতাবস্থায় আমি তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সে আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার চিৎকার চেচামেচি শুনে বাড়ীর কেয়ারটেকার তাকে হাতে নাতে ধরে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে বাহারুল ইসলাম বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মুক্তি পায় ।
ভুক্তভোগী আরো জানায় , পরবর্তীতে আমি বাহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে সে আমাকে বিয়ে না করার হুমকি দেয় এবং ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে সে আমি ও আমার পরিবারকে দেখে নিবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেয় ।
পরবর্তীতে গত ১০-১২-২০ ইং তারিখে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন , মামলা নং;- ৩৭৪/২০২০ ইং ( বন্দর থানা)।
মামলার সূত্র ধরে সিএমপি’র বন্দর থানা ১ লা জানুয়ারী অভিযুক্ত বাহারুল ইসলাম (৩৩) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে ।
এ বিষয়ে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান ভুক্তভোগী উম্মে হাবীবা আক্তার ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
চট্টগ্রাম নগরীতে সুন্দরী নারী ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে নগদ টাকা ও মোবাইলসেট সহ মোটরসাইকেল হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। সিএমপির পাহাড়তলী থানার অভিযানে চক্রটির ০১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে,গত ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখে একজন সুন্দরী নারী নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকায় জনৈক মোঃ আসাদুজ্জামান সুমন এর মোটরসাইকেলের নিকট গিয়ে অনুরোধ করে তাকে মোটরসাইকেলে গন্তব্য স্থলে পৌছে দেওয়ার জন্য।
অনুরোধ উপেক্ষা না করে ভিকটিম তাকে নিয়ে রওনা দেয়। এসময় সুন্দরী নারী জনৈক মোঃ আসাদুজ্জামান সুমনকে সু-কৌশলে প্রতারনার মাধ্যমে পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিন কাট্টলীস্থ প্রাণ হরি দাশ রোড রুপালী আবাসিক এলাকা হোল্ডিং নং-১৫৪৬ সি হাজী সোলায়মান ভবন ৭ তলা বিল্ডিং এর ছাদের উপর নিয়ে যায়, সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা তাহার অপরাপর সহযোগীদের সহযোগিতায় ভিকটিমের কাছে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সহ ২৯০০০ টাকা, ০৪টি মোবাইল সেট হাতিয়ে নেয়।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামা সুন্দরী নারী ও তাহার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানার মামলা নং-০৩(০১)২১ রুজু করা হয়।
মামলা রুজু হওয়ার পর পাহাড়তলী থানার টিম দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ওমর ফয়সাল রনি (২২) কে গ্রেফতার সহ জনৈক মোঃ আসাদুজ্জামান সুমন এর মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
ইকবাল হোসাইন, (চট্টগ্রাম) :-
চট্টগ্রাম নগরীতে ১৪ বছরের এক শিশুকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আটককৃত ব্যক্তির নাম হেলাল।
মঙ্গলবার ৮ ডিসেম্বর দুপুরে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন নন্দনকানন কাটাপাহাড় লেইন এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থনা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আটককৃত ব্যক্তির প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানা যায় সে ভাঙা ধারালো ব্লেইড দিয়ে ১৪ বছরের শিশুটির গলা কাটে। আহত শিশু ও আটককৃত ব্যক্তি দুজনেই পূর্ব পরিচিত।
গ্রেফতারকৃত হেলাল তিনপুলের মাথায় আমতলায় ভাসমান ভাবে বসবাস করে বলে যানা যায়। হেলাল গাম নেশায় আসক্ত বলেও উল্লেখ করেন পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নেশার সরঞ্জাম এবং ব্লেইডটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে পুলিশ জানায়, নেশাগ্রস্থ অবস্থায় হেলালের নিকট হতে ধার নেওয়া ১০০ টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয় নিয়ে দুজনেই মারামারিতে লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে হেলালের নিকট থাকা ব্লেইড দিয়ে গলায় আঘাত করলে এ ঘটনা ঘটে।
পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুুুুুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন এর নেতৃত্বে এস. আই মৃনাল সহ সঙ্গীয় ফোর্স ১১ঃ৩০ মিনিটে হত্যাচেষ্টকারী হেলালকে এক ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।