নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
চট্টগ্রাম নগরীতে পুরানো সার্কিট হাউসের আঙ্গিনা থেকে শিশু পার্ক সরানোর বিষয়ে সমঝোতার মাধ্যমে সরানোর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। এ বিষয়ে আজ অপরাহ্নে নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনে প্রশাসক দপ্তরে শিশুপার্ক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিঃ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সুজন বলেন, ১৯৭১ সনের ১৭ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তাই এটি আমাদের আবেগ ও গৌরব গাঁথা স্থান। এখান থেকেই আমরা স্বাধীন
বাংলার স্বাধ পাই। অথচ তৎকালীন বিএনপি সরকার এই স্মৃতিমাখা স্থানটি পরবর্তী প্রজন্মের মন থেকে মুছে ফেলার হীন মানসে এখানে বিনোদন কেন্দ্র তথা শিশুপার্ক নামের জঞ্জাল সৃষ্টি করেছিলেন।
তিনি বলেন,আমিও চাই চট্টগ্রামে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠুক যাতে নাগরিক ও শিশু কিশোররা সুস্থ বিনোদন পান। তবে এমন ঐতিহাসিক জায়গাকে আড়াল করার প্রয়াসে শিশুপার্ক আমরা চাইনা। আমরা দেখেছি এখানে বসে অনেক অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকা-ও পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই ঐতিহাসিক পার্ক রক্ষায় সম্মতি জ্ঞাপণ করেছেন। সেই লক্ষ্যে আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন শিশুপার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে মনোমালিন্য কিংবা জোর পূর্বক তাদের উচ্ছেদের পক্ষে আমি নই। এতে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখিন হবে। তবে কিভাবে সম্ভব তা যাচাই বাছাই ও সমন্বীত ও সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রশাসক বলেন, আমি প্রশাসক থাকার পূর্বে “নাগরিক উদ্যোগ” এর ব্যানারে অনেকবার এর প্রতিবাদ ও লেখালেখি করেছি। এখন হয়তো সুযোগ হয়েছে এই স্থানটিকে তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে দেয়ার। তাই আমি চেষ্টা করছি। এতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লি. এর এমডি মোস্তাফিজুর রহমান জানান এমন স্মৃতি বিজড়িত একটি জায়গাকে রক্ষায় আমিও ভূমিকা রাখতে চাই। আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব ছাড় দেয়া হবে। তবে আমাদের বিনিয়োগকৃত অর্থের একটি বিহিত সুরাহা করতে পারলে আমাদের আর আপত্তি থাকার কথা নয়। বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী এনামুল হক চৌধুরী, চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, এস্টেট অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম,ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিঃ এর জিএম নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে জীবিকা সংকটে চট্টগ্রামের শিল্পী সমাজ। তাই চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও করণীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করতে চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক মোর্চ্চা নামে একটি সংগঠন গঠিত হয়েছে।
এতে আহ্বায়ক কমিটিতে বাংলাদেশ গীতি কবি সংসদ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকনকে আহ্বায়ক, নজরুল সংগীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম’র সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরী, চাটগাঁইয়্যা নওজোয়ানের সভাপতি জামাল আহমদ, চট্টগ্রাম মঞ্চ সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি আলাউদ্দিন তাহের, ব্যান্ড ফাউন্ডেশনের সভাপতি ইমরান ফারুকীকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং জয় বাংলা মাল্টিমিডিয়ার সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি শিলা চৌধুরী, লোক শিল্প সঙ্গীত সংস্থার সাধারন সম্পাদক গিরিজা রাজবর, চট্টগ্রাম শিল্পী কল্যাণ সংস্থার সাধারন সম্পাদক সঞ্জিত আচার্য্য, সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি কাজী রবিউল হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল, চট্টগ্রাম নৃত্য শিল্পী সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজল আমিন শাওন, প্রয়াসের সভাপতি হাসান মুরাদ চৌধুরী মামুন, গীতি কবি সংসদ চট্টগ্রাম শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক দীলিপ ভারতী, বর্ণমালা আবৃত্তি সংসদের সাইদুল করিম রাজু, আলো’র মিছিল সংগঠনের জাহিদ হোসেন, অন্তরা হাওয়ান গীটার শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ডা. বাবুল সেন গুপ্ত, চাট্গাঁইয়্যা নওজোয়ানের আহিল সিরাজ, চট্টল ইয়ুথ কয়ার সভাপতি অরুন বনিক,চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক পরিষদ সভাপতি এস এম ফরিদুল হক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :-
জিয়াউর রহমান জিতু :-
প্রাণঘাতী করোনা মোকাবেলায় পুরো বাংলাদেশকে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনে রেখেছেন বাংলাদেশ সরকার। ঘরে বন্ধী হয়ে থাকছে চাকুরিজীবি, কর্মজিবী, দিনমজুর ও সকল শ্রেনীর মানুষদের।
সংকটময় এ পরিস্থিতিতে একান্ত নিজের জমানো টাকায় সমাজের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র কমেডি রিয়েলিটি শো হা-শো সিজন ৫ এর ফাইনালিস্ট তারকা সাবরিনা করিম।
১৯ শে এপ্রিল সোমবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, দুই নাম্বার গেইট, মুরাদপুর এলাকায় মোট ৪৫ টি মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে বাসায় গিয়ে গিয়ে নিজ হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন সাবরিনা করিম।
তিনি বলেন, এটা আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার অনুরোধ করোনার এ দূর্ভোগ পরিস্হিতিতে মধ্যবিত্ত শ্রমজিবী দিনমজুর ও অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। তবেই আমি আপনি এ সমাজ ও দেশ ভালো থাকবে। আমরা সকলে মিলে এই মহামারী কে মোকাবিলা করতে পারব এক সাথে।
তিনি আরো বলেন, আমার এই উপহার প্রদান অব্যহত থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাসো সিজন ৪ এর টপ ফাইনালিস্ট ফয়জুল আকবর রিফাত, অভিনয় শিল্পী, মোঃ রাহাত, অভিনয় শিল্পী মোঃ রিয়াদ সহ প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :-
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কাইশ্যা চরিত্রের মুল অভিনেতা জাপানিজ কমেডিয়ান কেন শিমুরা আর নেই। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
রোববার (২৯ মার্চ) জাপানের টোকিওর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
জানা গেছে , কেন শিমুরা সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯৭০ সালের দিকে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন এই কমেডিয়ান। ১৯৫০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাপানের টোকিওতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শিমুরার ‘বকটনো-সাম’ শট জাপানি কৌতুকাভিনেয়দের মধ্যে অস্বাভাবিক ছিল।
সমসাময়িক সমাজের বর্তমান অভিভাবকদের (একটি কোম্পানির প্রেসিডেন্ট, একজন রাজনীতিবিদ, পরিবার প্রধান, স্কুল প্রিন্সিপাল, জাপানের প্রধান ইয়াকুজা গ্যাং) একটি নির্বোধ রাজার অধীনে দীর্ঘদিন দেশে বসবাসের শোতে শিমুরার আরেকটি জনপ্রিয় শট হল ‘হেনা ওজি-সান’ (একটি ঘৃণ্য বয়স্ক ব্যক্তি), যিনি নবজাতক মেয়েদের সঙ্গে নিজেকে পরিবেশন করেন।
ইতোমধ্যে তিনি বাংলায় ডাবিংকৃত ভিড়িওতে কাইশ্যা চরিত্রে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।
জুনায়েদ হাসান:-
“হাসি” দুই অক্ষরের শব্দ মাত্র। আর এই দুই অক্ষরের শব্দটির জন্য মানুষ কত কিছুই না করছে।মানুষের মুুুুখে হাসি ফোটাতে মানুষের অবিরাম ছুটে চলা। কখনো প্রিয়জন, কখনো বন্ধু-বান্ধব, কখনো বা দেশের জন্য। এই হাসি ফোটানোর জন্য কত যুদ্ধ সংগ্রাম।
এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন কমেডিয়ান ফৌজুল আকবর রিফাত। যিনি চট্টগ্রামে কমেডি শিল্পে এক উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত।
এফ এ রিফাত বলেন, সুস্হ থাকতে হাসির কোন বিকল্প নেই। কোন বয়স নেই। হাসি পৌঁছে দেবো দেশের প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মানুষের কাছে এবং সেই সমস্ত মানুষের হৃদয়ে। সেই লক্ষ্যে আমাদের অগ্রযাত্রা চলছে, চলবে।
নিষ্ঠুর এই সময়ে কর্ম ব্যস্ততা, লেখা পড়া সব কিছুতেই যেনো মানুষ একটি খোলসে আবদ্ধ। তাহলে কেমন হবে আগামী প্রজন্ম। সেই কর্ম ব্যস্ততার ফাঁকে হাসি ছড়াতে যাত্রা শুরু করে “চিটাগাং কমেডি ক্লাব”। এখান থেকে উঠে আসা মেধাবী একজন কমেডিয়ান ফৌজুল আকবর রিফাত।
সর্ব প্রথম আশিকুর রহমান আশিকের নির্দেশনায় এবং সাদেকুর রহমান মাসুমের উপস্থাপনায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে চট্টগ্রামের প্রথম কমেডি শো “হাসির জোয়ার ভাটা” দিয়ে যাত্রা শুরু করে রিফাত। তারপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
এরপর তিনি ২০১৬ সালে ১৮ ই জুলাই বাংলাদেশের একমাত্র কমেডি ভিত্তিক রিয়েলিটি শো এনটিভি হা-শো সিজন ৪ এ চট্টগ্রাম জোন অডিশনে আরেক কমেডিয়ান জহির ইকবালকে সাথে নিয়ে ডুয়েট পারফর্ম করে সিলেক্ট হন। তারপর একে একে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অসাধারণ পারফর্ম দেখিয়ে বিচারকদের মন জয় করে টপ টেন পারফর্মার হয় এ জুটি।
হাশোর যাত্রা শেষে রিফাত থেমে থাকেননি। চট্টগ্রামের বিভিন্ন মঞ্চে স্ট্যান্ড আপ কমেডি করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন খুব সহজে। রিফাত নামটি এখন সকলের কাছে প্রিয়। তিনি বর্তমান সময়ে তৈরি করেছেন এক ঝাঁক মেধাবী নতুন কমেডিয়ান। যার হাত ধরেই অনেকে সুযোগ পাচ্ছে জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র কমেডি ভিত্তিক রিয়েলিটি শো হাশো তে। তন্মোধ্যে সাবরিনা করিম, মাসুদ আহমেদ, তাসনিয়া জাহান জেনি যারা এখন এন টিভি হাশো সিজন ৫ এর মঞ্চে তুমুল পারফর্ম করছেন।
একই ভাবে তিনি তাঁর নিজের লেখা স্ক্রিপ্টে নিজের নির্দেশনায় কিছু নতুন কৌতুক অভিনেতা নিয়ে একসাথে নিয়মিত কাজ করছেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান আঁরার চাটগাঁ, সাম্পান, উচ্ছাস, পাশাপাশি সহ বিভিন্ন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে।
রিফাত স্ট্যান্ড আপ কমেডিকে ভালোবেসে নিজের ভেতরে লালন করছেন এবং তা বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। তিনি একটা বিষয়ে খুব হতাশ। তিনি বলেন, স্ট্যান্ড আপ কমেডি খুব সহজ একটি বিষয় নয়। বাস্তব জীবনের সব ঘটনাকে হাস্যরস দিয়ে আমাদের সব কিছু তৈরি করতে হয়। মানুষ স্ট্যান্ড আপ কমেডি ও জোকার এর মধ্যে পার্থক্য বোঝেনা। এটাকে অনেকে ছোট করে দেখে। কিন্তু এই কাজ কতটা কঠিন এবং চেলেঞ্জিং তা অনেকেই জানেনা। তবে সু-শিক্ষিত সমাজ থেকে আমরা যতেষ্ট মূল্যায়ণ পাই।
কমেডি একটি শিল্প। যা মানুষকে শুধু আনন্দ দেয়না সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি আরো বলেন, কমেডি শিল্পকে আমরা আরো সমৃদ্ধ করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। ওপেন মাইক কমেডি শো, বিশ্ব হাসি দিবস উদযাপন সহ ভিন্ন ভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। যা আমাদের শিল্পকে আরো একধাপ এগিয়ে নিবে।
কমেডি চর্চা, কমেডি বিস্তার, কমেডি শিল্পের সমৃদ্ধ বর্তমান সময়ে খুব জরুরী। সুস্থ থাকতে হাসি খুশি থাকারো পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই রিফাত এর মত সকলের উচিত এই শিল্প সমৃদ্ধের জন্য একযোগে কাজ করা।
ক্ষণিকের_দুনিয়া
——————————-সুমন মোহাম্মদ
যদি রাত্রী শেষে ভোরের আলোয়
না’জাগে দু’নয়ন,
তবে ভেবেনিও রবের ইশারায়
ছেড়েছি এ’ভুবন।
সোনার পালঙ্ক পড়ে রইবে
ঘরের এক কোণে,
শেষ বাহনে উঠাইবে তোমায়
যাইবেনা কেউ সনে।
কী করিলা কী হারাইলা
এই ভবেতে থাকিয়া,
ঐ-পাড়েতে থাকার লাগি
সঙ্গে নিয়েছ হাদিয়া?
সময় থাকতে গড় সবে
ঐ পাড়ের সম্বল,
দয়াল যখন দিবে ডাক
দেহটা হবে অচল।
লাভ হইবেনা যতই করো
উঠে যাওয়ার বায়না,
যে’মাটিতে শুয়ে আছ
সে’মাটিই তোমার ঠিকানা।
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
বাংলাদেশ সাংবাদিক সাংস্কৃতিক মানবাধিকার সোসাইটির উদ্যোগে বিটা ও ক্যাবের সহযোগীতায় জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল তামাক বিরোধী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ উৎসব।
২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩ টায় নগরীর হালিশহর বি ব্লক মানবাধিকার চত্তরে এই আয়োজন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হালিশহর থানার প্রথম অফিসার্স ইনচার্জ, এডিসি(প্রাক্তন) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন মোহনা টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মনজুর হোসাইন। বিশেষ অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ প্রতিনিধি এস এম আজিজ, ২৫নং রামপুর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতিনেত্রী ফারহানা আফরোজ জেনিফার।
বাংলাদেশ সাংবাদিক সাংস্কৃতিক মানবাধিকার সোসাইটির আহবায়ক ও বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবু তাহের রায়হান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সাংস্কৃতিক মানবাধিকার সোসাইটির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন এমদাদুল করিম সৈকত। আরো উপস্থিত ছিলেন বিজয় স্মরণী কলেজের প্রভাষক ও মাসিক সজাগ সন্দ্বীপ সম্পাদক ফসিউল আলম,বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান, কানাডার লিভারেল পার্টির সদস্য মো. জামাল উদ্দিন মিন্টু, সাংবাদিক মোহাম্মদ শওকত, ন্যাশনাল গ্রামার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামছুল আলম, ক্যাব আকবর শাহ থানার সভাপতি ও আল আমীন হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. মেজবাহ উদ্দিন তুহিন, অবজারভার সাংবাদিক ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মনজুর আহমদ সোহেল, দৈনিক হালিশহর সম্পাদক ও সাপ্তাহিক উপনগরের নির্বাহী সম্পাদক এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেফায়েতুল্লাহ কায়সার, বিটার অর্গানাইজার মোহাম্মদ টিটু, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সাবেক উপ পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক কর্মকর্তা গুলজার আহমেদ, শুভ সকাল এর সম্পাদক মো: জুনায়েদ হাসান, দেশ বিদেশ টোয়েন্টি ফোর ডট কম এর সম্পাদক কাজী জিয়া উদ্দিন সোহেল, কালের খবর সম্পাদক ইকবাল ইবনে মালেক, চ্যানেল এস এর সাংবাদিক মো. গিয়াস উদ্দিন টিটু, মোহনা টিভির সন্দ্বীপ প্রতিনিধি ওমর ফয়সাল, এঞ্জেলা ক্যাটারিং হেল্প সোসাইটির উদ্যোক্তা ও প্রধান ব্যবস্থাপক নাট্যকর্মী নাসরিন আকতার হীরা, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, আফরোজা সুলতানা পূর্ণিমা, কবি মো. কিবরিয়া বাদল, বিশিষ্ট সংগঠক মো. ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, আব্দুল হালিম নাসির, ভূইয়া কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মো. আব্দুল খালেক ভূঁইয়া ও পরিচালক মো. আব্দুল আলীম, আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সমাজ সেবক মোহাম্মদ সফিকুল মাওলা দুলাল, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সংগঠনের সদস্য সচিব মো. আবু ইউসুফ সন্দ্বীপী ও আবৃত্তি শিল্পী সাইদুল করিম সাজু অনুষ্ঠানে যৌথ সঞ্চালনা করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, সস্কৃতিকর্মী, নাট্যকর্মী, সমাজ সেবক সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
হোসাইন ইকবাল, (স্পেন) প্রতিনিধি :-
শহরের কর্ম কোলাহল ছেড়ে পাহাড় লেক, ঝর্না আর সবুজের সমারোহে চলমান শহর জীবনের একঘেয়েমী থেকে আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকায় ব্যতিক্রম একটি দিন কাটাতেই এ বনভোজনের আয়োজন করা হয়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার ১ টি বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির বিশাল বহর নিয়ে পাহাড় পর্বত জলাশয় এর সৌন্দর্যে ঘেরা নয়নাভিরাম ”এল পলের” (El Pol- Arbúcies) উদ্দেশ্যে সকাল ১১ টায় আনন্দ ভ্রমনে যাত্রা করেন । সমিতির সভাপতি মেহেতা হক জানুসহ মহিলা নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে সমিতির সকল সদস্য সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, সামাজিক রাজনৈতিক আঞ্চলিক বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি সপরিবারে এই বনভোজনে অংশ নেন।
যাত্রাপথে ভ্রমনের ক্লান্তি দূর করতে ছিল গান, উপস্থিত বক্তব্য, কৌতুক, তাতে সবাই যে যার মত করে কৌতুক বলে সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে রাখেন ।সকাল ১২ টায় গাড়ী পৌঁছে পিকনিক স্পটে। দিনব্যাপী চলে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন জনপ্রিয় গান গেয়ে বার্ষিকী বনভোজনে আগত উপস্থিত সকলকে আনন্দে মাতিয়ে রাখেন বার্সেলোনার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী, বিউটি গীরি শীল ও জিনাত শফিক।
দুপুরে সুস্বাদু দেশীয় খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে সাজানো ছিল পুরোটা সময়। ইভেন্টগুলোর মধ্যে ছিলো- শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র, মহিলাদের দৌড় ও বালিশ খেলা, পুরুষদের ফুটবল প্লান্টিক কিক ছিল অন্যতম উপভোগ্য ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইন বার্সেলোনার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জেবুন্নেছা , মুন্নি পাখী ,মন্জু স্বপন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলাউদ্দিন হক নেসা, নবীন উল হক,নজরুল ইসলাম, সাঈদ স্বপন, শিবলু রাজ সহ সামাজিক, রাজনৈতিক,কমিউনিটি ও সাংবাদিক ব্যক্তিবর্গ।
পরিশেষে বার্সেলোনা মহিলা সমিতির প্রধান সমন্বয়ক বনভোজনের সহযাত্রী সহ মহিলা সমিতির সকলকে সাধুবাদ জানিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
এম.এ. আলম শুভঃ-
“অন্ধকার” শিরোনামে প্রথম মৌলিক গানে কন্ঠ দিয়েছেন আজাদ রাহী ও তার সাথে কণ্ঠ দিয়েছেন তানিশা ইসলাম শেনীজ এবং গানটির কথা লিখেছেন আজাদ রাহী নিজেই, এবং গানটির সুর ও সংগীত করেছেন আভরাল সাহির। গানটি ইরফান সাজ্জাদ এবং তানজীন তিশার অভিনীত “তুমি রবে নীরবে” নামক একটি নাটকে প্রচার করা হয়। নাটকটির ভিডিও পরিচালনা করেন মনসুর আলম নির্ঝর।
পরবর্তী সময়ে আজাদ রাহী গানটির জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নিজেই একটি মিউজিক ভিডিও করেন এবং মিউজিক ভিডিওটির নির্মান করেন সোহেল রাজ। ইতিমধ্যে গানটির ইউটিউব ভিউস প্রায় ১০ লক্ষ অতিক্রম ছড়িয়েছে। আজাদ রাহীর নিজের “আজাদ রাহী” নামক তার অফিসিয়াল চ্যানেল ও আরো একটি ইউটিউব চ্যানেলে ১০ লক্ষ এর কাছাকাছি ভিউস হয়েছে এবং অনলাইন ওয়েব লিংক এ প্রায় ২.৫ কোটি এর বেশি মানুষ গানটি শুনেছেন পাশাপাশি ফেসবুক সোশাল মিডিয়া তে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ এবং হাজার হাজার মানুষের পোষ্ট ও শেয়ার এর মাধ্যমে গানটি সব খানে ছড়িয়ে পড়ে। গানটির ইউটিউব কমেন্টে গেলেই বুঝা যায় গানটির প্রতি শ্রোতাদের ভালোবাসা কতটুকু। আজাদ রাহী বলেন এটাই তার প্রথম এবং শেষ গান কিন্তু অন্ধকার এর মত আবারো কোন গান যদি সে লিখতে পারে সে আবারো একটি নতুন গান নিয়ে ফিরবে। ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিয় বড় ভাই আভরাল সাহির কে এবং ছোট ভাই অভি কে এবং অন্ধকার এর সাথে থাকা সবাইকে.